Set as Homepage

Pages

Saturday, January 09, 2010

সুইডেনে নারীরাই বস

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ সুইডেনে বিভিন্ন কোম্পানিতে শীর্ষ স্থানে পুরুষ নয়, মহিলা। সুইডেনে পুরুষদের চেয়ে মহিলারা ক্যারিয়ার গড়ায় এগিয়ে আছেন। বিভিন্ন কোম্পানিতে দেখা যাবে শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে নারীরা কাজ করছেন। তবে এক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমানাধিকারে বিশ্বাসী হওয়া, সে অনুযায়ী কাজ করা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তবে মহিলারা এগিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের দৃঢ় পায়ে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে রুটার ডাম সংস্থা।
এই সংস্থাটি মেয়েদের কর্মজীবনের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছে। এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সুইডেনের মহিলাদের। গুনিলা আরহেন বললেন, আমার নাম গুনিলা আরহেন। ২২ বছর আগে আমি এই সংস্থা গড়ে তুলি। এই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো সেসব মহিলাকে সাহায্য করা, যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান। যারা নিজেদের শীর্ষস্থানে দেখতে চান। আগে সুইডেনে কর্মস্থলে মহিলাদের শীর্ষ স্থানে দেখা যেত না। আমি যা করছি তা হলো, এক বছরের একটি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যারা ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করছে তারা সবাই কর্মরত এবং বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন। কিন্তু তারা আরও এগিয়ে যেতে চান, পেশাগত জীবনে আরও ওপরে উঠতে চান। এ রকম অনেক মেয়ের একজন হলেন আনিকা ফালকেন গ্রেন। সুইডেনের একটি ব্যাংকের প্রধান তিনি। সারা সুইডেনের বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রায় ২৩৮ জন সিইও রয়েছেন। এরা সবাই আমাদের ট্রেনিং পাওয়া। ২২ বছর ধরে আমরা কাজ করে যাচ্ছি মহিলাদের সাহায্য করতে—এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গুনিলা আরহেন আরও জানান, সুইডেনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মহিলা যারা নিজ কর্মক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন, তারা সবাই রুটার ডামে সময় কাটিয়েছেন বেশ কিছুদিন। অনেক কিছু শিখেছেন। পরিচিতি, যোগাযোগ এবং নেটওয়ার্ক—এই তিনটি বিষয়ের দিকে নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ক্যারিয়ার গড়তে এগুলো সাহায্য করে সবচেয়ে বেশি, জানান মাগডালেনা গের্গার। তিনি বলেন, কর্মস্থানে সহযোগিতা এবং সাহায্য পেলে সহজে এগিয়ে যাওয়া যায়। বলা প্রয়োজন, রুটার ডামের কল্যাণে মাগডালেনা গের্গার সুইডেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসীন হয়েছেন। সুইডেনের সবচেয়ে বড় অ্যালকোহল এবং লিকার প্রতিষ্ঠানের টপ ম্যানেজার মাগডালেনা। শুধু তাই নয়, মাগডালেনা আসবাব এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিশাল বিপণি ইকেয়ার উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি জানান, আমি যেখানে কাজ করেছি, সেখানে আমি প্রচুর সহযোগিতা পেয়েছি। সবাই আমাকে সাহায্য করেছে, সব কিছু বুঝিয়েছে। আমার ওপর সবার আস্থাও ছিল যে, আমি কাজ করতে পারব এবং ভালোভাবেই পারব। যে কারণে আমাকে সুযোগও দেয়া হয়েছিল নিজেকে প্রমাণ করার। আমার ক্যারিয়ার গড়ায় এই আত্মবিশ্বাস, নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ অগ্রাধিকার পেয়েছে। আত্মবিশ্বাসের ওপর আর কিছুই নেই। তবে এ কথা ঠিক, এমন পরিবেশ চাই যেখানে নিজের আত্মবিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করা যাবে, নিজের ব্যক্তিত্বকে বিকশিত করা যাবে। যে কাজের পরিবেশ ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সংঘাতে আসে সেখান থেকে কিছু আশা করা কঠিন। প্রতিটি কর্মসংস্থানই খুব সহজেই বুঝে ফেলতে পারে, কাকে দিয়ে কাজ হবে এবং কাকে দিয়ে হবে না। কে ক্যারিয়ার গড়তে চায় কে শুধু ন’টা-পাঁচটা চাকরি চায়। গুনিলা আরহেন জানান, রুটার ডাম অনেক সময় নেয় শুধু তাদের খুঁজে বের করতে কারা সত্যিকার অর্থেই ক্যারিয়ারিস্ট। কারা সাফল্যের সঙ্গে এই ট্রেনিং প্রোগ্রামটি শেষ করতে পারবে এবং ঠিক কোন বিষয়টির ওপর জোর দিতে হবে। কোন সংস্থা কার জন্য ক্যারিয়ার গড়ার যোগ্য প্রতিষ্ঠান তাও ঠিক করে দেয় রুটার ডাম। তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই রুটার ডামের একমাত্র লক্ষ্য।

2 comments:

  1. thankz sithy bhaloi likheso...ekhon sudhu bangladeshe na sudhu sara world e narira agie ase
    good luck and keep posting

    ReplyDelete
  2. he he hmm i will try to keep blog live

    ReplyDelete