| লক্ষাধিক বাংলাদেশিসহ সোয়া কোটি অবৈধ ইমিগ্র্যান্টের বৈধতা প্রাপ্তির পথ সুগম হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিল কংগ্রেসে বহুল প্রত্যাশিত ইমিগ্রেশন বিল কংগ্রেসে উঠেছে। ফলে লক্ষাধিক বাংলাদেশিসহ সোয়া কোটি অবৈধ ইমিগ্র্যান্টের বৈধতা প্রাপ্তির পথ সুগম হচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বর ‘কমপ্রিহেনসিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম ফর আমেরিকা’স সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি অ্যাক্ট অব ২০০৯ শিরোনামে উত্থাপিত এ বিল অনুযায়ী মাত্র ৫০০ ডলার জরিমানা দিয়ে অবৈধভাবে বসবাসরতরা বৈধতার আবেদন করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, যাদের বিরুদ্ধে ডিপোর্টেশনের নির্দেশ রয়েছে অথবা ডিপোর্টেশনের নির্দেশ জারির প্রক্রিয়া চলছে কিংবা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের অঙ্গীকার করেছিলেন কিন্তু তা পালন করেননি, তারাও বৈধতার জন্যে আবেদন করতে পারবেন। এটি আইনে পরিণত হলে এই বিল উত্থাপনের দিন অর্থাৎ ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বাস করছেন তারাই সুযোগ পাবেন। যারা গুরুতর কোনো অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বা কমপক্ষে ৩টি লঘু অপরাধে অপরাধী বা অভিযুক্ত হয়েছেন তারা বৈধতার সুযোগ পাবেন না। তবে যারা নানাবিধ কারণে ভুয়া সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর ব্যবহার করছেন তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনের জন্যে নির্দিষ্ট হারে ফি ধার্য করা হবে। অবৈধভাবে বসবাসকালে যারা যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছেন কিংবা কম্যুনিটি সার্ভিস দিয়েছেন তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। আবেদনগুলো বাছাইয়ের পর সংশ্লিষ্টদের ৬ বছর মেয়াদে ভিসা দেয়া হবে। শর্তযুক্ত এ ভিসাধারীরা স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করবেন এবং নিজ দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন ও স্ট্যাটাস নিয়ে কেউ প্রশ্নের অবতারণা করতে পারবে না। এ বিলে ড্রিম অ্যাক্টের প্রসঙ্গও রয়েছে। শতাধিক কংগ্রেসম্যানের কো-স্পন্সরে বিলটি উত্থাপন করেছেন হিসপ্যানিক, ব্ল্যাক এবং এশিয়ান/প্যাসিফিক আইল্যান্ডার নিয়ে গঠিত ‘কংগ্রেসনাল ট্রাই ককাসের’ হোস্ট লুইস গুটিরেজ। খবর নিউইয়র্ক থেকে এনা উত্থাপিত বিলে নতুন লটারির প্রস্তাব রয়েছে। অবৈধভাবে বসবাসকারী ইমিগ্র্যান্টদের অস্তত ৫ ভাগ যে দেশের নাগরিক সে দেশ পাবে এ লটারিতে অংশ নেয়ার সুযোগ। বার্ষিক এক লাখ ভিসা ইসু করা হবে এ লটারি বিজয়ীদের মধ্যে এবং এটি চালু থাকবে ৩ বছরের জন্য। এর নাম ‘প্রিভেন্ট আনঅথরাইজড মাইগ্রেশন’ ভিসা। এ লটারিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন না বা অন্য কোনো প্রোগ্রামে ইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদন জানাননি এবং ৪ বছরের কলেজ কোর্স (বিএ/বিএসসি/অনার্স) সম্পন্ন করেছেন। তবে সকলকেই ব্যাকগ্রাউন্ড চেকিংয়ের ছাড়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। বিজয়ীরা শর্তযুক্ত ভিসা পাবেন এবং ৩ বছর পর এলপিআরে গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বিলে পারিবারিক কোটায় ভিসার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আবেদনগুলো প্রসেসিংয়ের সময় কমিয়ে আনার প্রস্তাব রয়েছে। উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশের আমলে দুবার ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিল উত্থাপন করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা পাস হতে পারেনি। এবার অবশ্য পাসের ব্যাপারে কেউ দুশ্চিন্তায় নেই। কেননা, ডেমোক্র্যাটরা উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সিনেটেও বিল পাসের একক ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্স এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলোও দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দিচ্ছে ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিলের ব্যাপারে। ইমিগ্র্যান্টদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত সংগঠনগুলোও গুটিরেজের উত্থাপিত বিলকে ইমিগ্রেশনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক একটি দিক বলে অভিহিত করেছে। | |
Tuesday, January 12, 2010
Probash news
Labels:
news
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

good luck for bangladeshi..
ReplyDeleteonek din por bangladeshi r jonno ekta good news..jekhane evry day /month e bangladeh r sate diplomatic relation down hosse...
ReplyDeleteshame our politicians