বাংলাদেশ ব্যন্কের ওয়েবসাইটে একটা রিপোর্ট পরলাম। বাংলাদেশ পরিসংখান বুরোর সাইট টি এতই আগোছালো, বি-বি এর ওয়েব সাইটটাই সাধারনত দেখা হয়।
২০০৯ সালের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্হার চিত্র এই রিপোর্ট থেকে কিছুটা বোঝা যায়। যদিওবা এটা সারা বছরের জন্য করা হইনি, (মাসিক) পরিসংখান প্রেমিরা এখান থেকে কি ফ্যেক্টস গুলো দেখতে পারেন।
রিপোর্টে প্রকাশিত ডাটা গুলো একদল প্রচন্ড আলসে আমলার কাজ বলেই প্রাথমিক অনুমান করছি। শুরুতেই বলব এত সীমিত পরিসরে এবং সীমিত তথ্য নিয়ে আমার মত দিনমজুর অর্থনৈতিক আলোচনা করার ধ্রস্টতা দেখিয়েছে, তাই শুরুতেই ক্ষমা প্রার্থী। এই রিপোর্ট আর পত্রপত্রিকার অন্যসব সংবাদের উপর ভিত্তি করে আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষন গুলো তুলে ধরছি:
১। ডি এস ই ইনডেকস: পুজিবাজারের সার্বিক অবস্থান সংকিত মাত্রার ভালো।
২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত্য ইনডেক্স বেরেছে ৩দশমিক৫ গুন। অর্থাত ২০০১ এ সবচেয়ে বোকা বিনিয়োগকারিও যদি ১ কোটি টাকা শুধু মার্কেট ট্রেকার ইনডেক্স ধরে ফেলে রাখতো, তার বিনিয়োগ ২০০৮ এ গিয়ে ২দশমিক৫ কোটি টাকায় রুপান্তরিত হত! যা আট বছরে আরাইশ পার্সেন্ট রিটার্ন ওন ইনভেস্টমেন্ট। এখন পাঠক দয়া করে ভাবুন কেনো শুধু ব্লগে সময় নস্ট করছেন, "বাংলাদেশ দিচ্ছে ডাক, পুজিবাজার এগিয়ে যাক"!
২। ম্যেক্রো ইকনমিক অবস্হান: পাবলিক ডেট খুবই কম। আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ি এতবড় সরকারের হ্রদয় টাও বড় হতে হবে। জনস্বার্থে খরচ বাড়াতে হবে যা পাবলিক ডেট কিছুটা বাড়াব। এবং আমার মতে তাই হওয়া চাই। কারণ একটি দরিদ্র দেশে সরকারের অনেক রেসপনসিবিলিটি। বর্তমানে পাবলিক ডেট হল যি ডি পির ১৭%। যা নগন্য। যদিও বা আমাদের মত নিম্নশ্রেনির অর্থনিতিগুলোর সাধারনত এরকমিই হয়ে থাকে। উচ্চমানের অর্থনীতি গুনোর স্বাস্হ্যকর পাবলিক ডেট রেশিও হয়। প্রায় যি ডি পির ৪০% কাছাকাছি। সরকারের উৎপাদনশীল খরচের মাত্রা বাড়াতে হবে। বর্তমান অবস্হার একমাত্র ভালো দিক আমার সরকার সলভেন্ট। কিন্তু গরিবের সলভেন্সি সারটিফিকেটের দরকার নাই।
৩। বেংকিং সিসটেমের তারল্য অত্যাধিক; তাই যুক্তরাস্টের ন্যায় ব্যেংক দেউলিয়া হওয়ার অবকাশ নাই। তবে নিজেদের তারল্যের চাপে নিজেরাই বন্যাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রি্য ব্যংকের দায়িত্ব অপরিসীম। তারল্যের আধিক্যের দরুন ব্যংকগুলো অতি মাত্রায় সুদ চাইবে। একদিকথেকে ব্যংকিং সেক্টরে ইনোভেশনের অভাব, তারউপর কেন্দ্রিয় ব্যংকের নির্দেশনা হল অতিমাত্রায় ঝুকিহীন হতে স্টাট্উটারি লিকুউডিটি রেশিও বেশি, তার উপর ডমেস্টিক ইনভেস্টমেন্ট কম। প্রব্রদ্ধির জন্য এটি আশংকাজনক। বেসরকারি খাত কে স্টেগনেন্ট করে রাখছে ব্যংকিং সেকটর! সরকারের সেভিংস এর ওপর ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে ব্যংক গুলোর উপর সুদের হার কমাতে চাপ দিতে হবে।
৪। ব্রড মানির ব্রেক ডাউন দেখে মনে হ্য় সামগ্রিক পরিস্হিতিতে আমার মতে আমরা সেভিংস নির্ভর অর্থনীতি। এতে প্রব্রদ্ধির গতি অত্যন্ত ধির কতির হবে।
৫। জি ডি পি গ্রোথ, অর্থাৎ মোট দেশজ উৎপাদন এর প্রব্রদ্ধি বেশ করুন। মুল্যস্ফিতির রেট প্রায় ৫ দশমিক ৫ আর জি ডি পি গ্রোথ রেট হল প্রায় ৫ দশমিক ৫ বা ৫ দশমিক ৬। তাই রিয়েল গ্রোথ হলো প্রায় শুন্য। কারন গ্রোথ যা হচ্ছে ইনফ্লেশন তা শুসে নিচ্ছে। এই অবস্হা আরো করুন ছিলো ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত্য। গড়ে প্রায় ৭ দশমিক ৬ % ইনফ্লেশন। ফুড প্রাইসের ইনফ্লেশন হিসেবে নিলে একটি নোংরা সত্য বেরিয়ে আসে, আর তাহলো দেশের দরিদ্র জনগোস্ঠি শুধুই তথাকথিত উন্নয়নের ভিকটিম হয়েছিলো, উপকার পাওয়া দুরের কথা। তাই ঐদিন গুলোতে যারা সরকারে (বর্তমান বিরোধী দল) ছিলো তারা যদি আজ বলে প্রব্রদ্ধিতে দেশ ছেয়ে গিয়ে ছিলো (কারন তারা প্রায় গর্ব করা বলতো), তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনার জন্য মামলা দেয়া উচিৎ। প্রব্রদ্ধির এই করুন অবস্হা থেকে আমাদের বেরোনো সম্ভব নয় যদিনা আমরা হাই ইকনমিস ওফ স্কেলের ই্নডাসট্রি স্টেব্লিশ করতে না পারি। যেমন গাড়ি এসেম্বলিং প্লেন্ট। চিনের লো ইনফ্লেশন, আর হাঈ গ্রোথের অর্থনীতি তার দরিদ্র জনগোস্ঠিকে দারিদ্রতা থেকে টেনে এনেছিলো কারন সরকারি প্রনোদনায় ভারি শিল্প কারখানার আধিক্য যা থেকে সে তুলোনামুলক হাই এন্ড প্রোডাকট এট গুড ইকনমি ওফ স্কেলে উৎপাদন করতে পেরেছে বলে, চাষবাশ করে নয়। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের অর্থনীতি গুলো তে দেখাযায় লো প্রডাকটিভিটির ইনডাসট্রিয়াল গ্রোথ যা সাসটেইন করা দুরহ, তার উপর ওভার এম্ফেসিস ওন এগ্রিকালচার।
যিডিপি গ্রোথের এ বিষয় নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করা যেতে পারে।
পরিশেষে, অবজেটিভলি স্পিকিং নট এন ইন্টারেসটিং ইকনমি এট অল। ভাবাবেগের সাথে বললে, "হবে হবে একদিন হবে"। সরকার আশাকরি কিছু নতুনত্ব উপহার দেবেন।
// sourav,london//
২০০৯ সালের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্হার চিত্র এই রিপোর্ট থেকে কিছুটা বোঝা যায়। যদিওবা এটা সারা বছরের জন্য করা হইনি, (মাসিক) পরিসংখান প্রেমিরা এখান থেকে কি ফ্যেক্টস গুলো দেখতে পারেন।
রিপোর্টে প্রকাশিত ডাটা গুলো একদল প্রচন্ড আলসে আমলার কাজ বলেই প্রাথমিক অনুমান করছি। শুরুতেই বলব এত সীমিত পরিসরে এবং সীমিত তথ্য নিয়ে আমার মত দিনমজুর অর্থনৈতিক আলোচনা করার ধ্রস্টতা দেখিয়েছে, তাই শুরুতেই ক্ষমা প্রার্থী। এই রিপোর্ট আর পত্রপত্রিকার অন্যসব সংবাদের উপর ভিত্তি করে আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষন গুলো তুলে ধরছি:
১। ডি এস ই ইনডেকস: পুজিবাজারের সার্বিক অবস্থান সংকিত মাত্রার ভালো।
২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত্য ইনডেক্স বেরেছে ৩দশমিক৫ গুন। অর্থাত ২০০১ এ সবচেয়ে বোকা বিনিয়োগকারিও যদি ১ কোটি টাকা শুধু মার্কেট ট্রেকার ইনডেক্স ধরে ফেলে রাখতো, তার বিনিয়োগ ২০০৮ এ গিয়ে ২দশমিক৫ কোটি টাকায় রুপান্তরিত হত! যা আট বছরে আরাইশ পার্সেন্ট রিটার্ন ওন ইনভেস্টমেন্ট। এখন পাঠক দয়া করে ভাবুন কেনো শুধু ব্লগে সময় নস্ট করছেন, "বাংলাদেশ দিচ্ছে ডাক, পুজিবাজার এগিয়ে যাক"!২। ম্যেক্রো ইকনমিক অবস্হান: পাবলিক ডেট খুবই কম। আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ি এতবড় সরকারের হ্রদয় টাও বড় হতে হবে। জনস্বার্থে খরচ বাড়াতে হবে যা পাবলিক ডেট কিছুটা বাড়াব। এবং আমার মতে তাই হওয়া চাই। কারণ একটি দরিদ্র দেশে সরকারের অনেক রেসপনসিবিলিটি। বর্তমানে পাবলিক ডেট হল যি ডি পির ১৭%। যা নগন্য। যদিও বা আমাদের মত নিম্নশ্রেনির অর্থনিতিগুলোর সাধারনত এরকমিই হয়ে থাকে। উচ্চমানের অর্থনীতি গুনোর স্বাস্হ্যকর পাবলিক ডেট রেশিও হয়। প্রায় যি ডি পির ৪০% কাছাকাছি। সরকারের উৎপাদনশীল খরচের মাত্রা বাড়াতে হবে। বর্তমান অবস্হার একমাত্র ভালো দিক আমার সরকার সলভেন্ট। কিন্তু গরিবের সলভেন্সি সারটিফিকেটের দরকার নাই।
৩। বেংকিং সিসটেমের তারল্য অত্যাধিক; তাই যুক্তরাস্টের ন্যায় ব্যেংক দেউলিয়া হওয়ার অবকাশ নাই। তবে নিজেদের তারল্যের চাপে নিজেরাই বন্যাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রি্য ব্যংকের দায়িত্ব অপরিসীম। তারল্যের আধিক্যের দরুন ব্যংকগুলো অতি মাত্রায় সুদ চাইবে। একদিকথেকে ব্যংকিং সেক্টরে ইনোভেশনের অভাব, তারউপর কেন্দ্রিয় ব্যংকের নির্দেশনা হল অতিমাত্রায় ঝুকিহীন হতে স্টাট্উটারি লিকুউডিটি রেশিও বেশি, তার উপর ডমেস্টিক ইনভেস্টমেন্ট কম। প্রব্রদ্ধির জন্য এটি আশংকাজনক। বেসরকারি খাত কে স্টেগনেন্ট করে রাখছে ব্যংকিং সেকটর! সরকারের সেভিংস এর ওপর ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে ব্যংক গুলোর উপর সুদের হার কমাতে চাপ দিতে হবে।
৪। ব্রড মানির ব্রেক ডাউন দেখে মনে হ্য় সামগ্রিক পরিস্হিতিতে আমার মতে আমরা সেভিংস নির্ভর অর্থনীতি। এতে প্রব্রদ্ধির গতি অত্যন্ত ধির কতির হবে।
৫। জি ডি পি গ্রোথ, অর্থাৎ মোট দেশজ উৎপাদন এর প্রব্রদ্ধি বেশ করুন। মুল্যস্ফিতির রেট প্রায় ৫ দশমিক ৫ আর জি ডি পি গ্রোথ রেট হল প্রায় ৫ দশমিক ৫ বা ৫ দশমিক ৬। তাই রিয়েল গ্রোথ হলো প্রায় শুন্য। কারন গ্রোথ যা হচ্ছে ইনফ্লেশন তা শুসে নিচ্ছে। এই অবস্হা আরো করুন ছিলো ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত্য। গড়ে প্রায় ৭ দশমিক ৬ % ইনফ্লেশন। ফুড প্রাইসের ইনফ্লেশন হিসেবে নিলে একটি নোংরা সত্য বেরিয়ে আসে, আর তাহলো দেশের দরিদ্র জনগোস্ঠি শুধুই তথাকথিত উন্নয়নের ভিকটিম হয়েছিলো, উপকার পাওয়া দুরের কথা। তাই ঐদিন গুলোতে যারা সরকারে (বর্তমান বিরোধী দল) ছিলো তারা যদি আজ বলে প্রব্রদ্ধিতে দেশ ছেয়ে গিয়ে ছিলো (কারন তারা প্রায় গর্ব করা বলতো), তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনার জন্য মামলা দেয়া উচিৎ। প্রব্রদ্ধির এই করুন অবস্হা থেকে আমাদের বেরোনো সম্ভব নয় যদিনা আমরা হাই ইকনমিস ওফ স্কেলের ই্নডাসট্রি স্টেব্লিশ করতে না পারি। যেমন গাড়ি এসেম্বলিং প্লেন্ট। চিনের লো ইনফ্লেশন, আর হাঈ গ্রোথের অর্থনীতি তার দরিদ্র জনগোস্ঠিকে দারিদ্রতা থেকে টেনে এনেছিলো কারন সরকারি প্রনোদনায় ভারি শিল্প কারখানার আধিক্য যা থেকে সে তুলোনামুলক হাই এন্ড প্রোডাকট এট গুড ইকনমি ওফ স্কেলে উৎপাদন করতে পেরেছে বলে, চাষবাশ করে নয়। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের অর্থনীতি গুলো তে দেখাযায় লো প্রডাকটিভিটির ইনডাসট্রিয়াল গ্রোথ যা সাসটেইন করা দুরহ, তার উপর ওভার এম্ফেসিস ওন এগ্রিকালচার।
যিডিপি গ্রোথের এ বিষয় নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করা যেতে পারে।
পরিশেষে, অবজেটিভলি স্পিকিং নট এন ইন্টারেসটিং ইকনমি এট অল। ভাবাবেগের সাথে বললে, "হবে হবে একদিন হবে"। সরকার আশাকরি কিছু নতুনত্ব উপহার দেবেন।

No comments:
Post a Comment