যে সাতটি বৈশিষ্ট্য নেক্সাস ওয়ানকে এগিয়ে দেবে আইফোনের তুলনায়
গুগল ফোন বা নেক্সাস ওয়ান বাজারে আসার পরপরই প্রযুক্তিবিদদের মাঝে জেগে ওঠে নতুন এক প্রশ্ন, ‘নেক্সাস ওয়ান কি পারবে আইফোনকে পেছনে ফেলতে?’ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই যেন দুই জায়ান্টের তৈরি করা দুই মডেলের এই স্মার্টফোনের তুলনা শুরু হয়ে গেছে। দি হাফিংটন পোস্ট সম্প্রতি এমন ৭টি বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরেছে যেগুলো নেক্সাস ওয়ানে আছে কিন্তু আইফোনে নেই। সেই প্রতিবেদন অবলম্বনেই নেক্সাস ওয়ানের নতুন সাতটি বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরা হলো এই ফিচারে।1) টাইপ করার সুবিধা
নেক্সাস ওয়ানে টাইপ করা আইফোনের চেয়ে বেশি আরামদায়ক ও সহজ বলেই দাবি করেছে দি হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত রিভিউ। আইফোনে কোনোকিছু টাইপ করতে হলে সম্পূর্ণ NexusOne0110bনতুন একটি স্ক্রিনে যেতে হতো, যা অনেক ক্ষেত্রে বিরক্তিকর বা সমস্যাদায়ক বলে মনে হতে পারে। নেক্সাস ওয়ানে এই সমস্যাটি নেই। বরং, যেই স্ক্রিনে কাজ করছেন, ঠিক সেখানেই আপনি টাইপ করার সুবিধা পাবেন।এছাড়াও লেখার সময় অভিধান অনুযায়ী আপনাকে কিছু ওয়ার্ড সাজেশন দিয়ে থাকে প্রায় সব মোবাইল সেটই। ব্যতিক্রম নয় আইফোন বা নেক্সাস ওয়ানও। তবে, আইফোনে সর্বোচ্চ পাঁচটি শব্দ সাজেশন দেয়া হয়। অন্যদিকে গুগলের নেক্সাস ওয়ানে একসঙ্গে ১৫টি ওয়ার্ড সাজেশন দিতেও দেখা গেছে।
2) ব্যাটারি লাইফ
আইফোনের চেয়ে গুগল ফোন বা নেক্সাস ওয়ানের ব্যাটারির চার্জের স্থায়িত্বও বেশি। একটানা কথা বললে আইফোনে পাঁচ ঘণ্টা অর্থাৎ টক টাইম পাঁচ ঘণ্টা, যেখানে নেক্সাস ওয়ানের টক টাইম সাত ঘণ্টা। শুধু তাই নয়, নেক্সাস ওয়ানে পরিবর্তনযোগ্য ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাটারি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সহজেই ব্যাটারি পরিবর্তন করে ফেলা সম্ভব; যেমনটা আইফোনে সম্ভব নয়। এছাড়াও নেক্সাস ওয়ানে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ব্যাটারির চার্জ বা পাওয়ার কী কাজে য় হচ্ছে। যেমন, গান শোনার সময় আপনি দেখতে পারবেন যে আপনার স্পিকার ব্যাটারির চার্জ নিচ্ছে।3) উন্নততর ক্যামেরা
এইচটিসি’র তৈরি নেক্সাস ওয়ানের ক্যামেরা আইফোনের ক্যামেরার চেয়েও উন্নততর বলেই জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট। আইফোনের ক্যামেরা ৩ মেগাপিক্সেলের, যেখানে নেক্সাস ওয়ানে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এখানেই শেষ নয়, নেক্সাস ওয়ানের ক্যামেরার সঙ্গে রয়েছে ফ্যাশ লাইট, যা অন্ধকারেও ছবি তোলার সুবিধা দেবে। অথচ আইফোনে প্রয়োজনীয় এই জিনিসটিই দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে একজন প্রযুক্তিবিদ মন্তব্য করেছেন, ‘আইফোনের ডেভেলপাররা হয়তো সবসময় আলোকউজ্জ্বল পরিবেশে থাকেন, যার কারণে ক্যামেরার সঙ্গে ফ্যাশ দেয়ার কথা মনে ছিলো না তাদের!’4) লিখতে বলুন নেক্সাস ওয়ানকেই
কোনো কারণে লিখতে ইচ্ছে না হলে বা দ্রুত লেখার প্রয়োজন হলে নেক্সাস ওয়ানকে দিয়েই লিখিয়ে নিতে পারবেন আপনার বার্তা বা টেক্সট। নেক্সাস ওয়ান আপনার কথা পাঠ্যতে রূপান্তর করবে এবং তা লিখে নেবে। যেমন: কাউকে টেক্সট মেসেজ পাঠানোর সময় আপনি যা লিখবেন সেগুলোই শব্দ করে বলে নেক্সাস ওয়ানকে শোনান, নেক্সাস ওয়ান মেসেজ লিখে নেবে। অবশ্য ডিকটেশন নামের এই বৈশিষ্ট্যটি নেক্সাস ওয়ানেই নতুন নয়। আইফোনেও ‘ড্রাগন ডিকটেশন’ নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন। তবে আইফোনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, আপনাকে কথাগুলো লেখায় রূপান্তর করার জন্য নতুন করে আলাদা একটি অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে হবে এবং লেখা শেষে তা কপি করে প্রয়োজনীয় জায়গায় পেস্ট করতে হবে। অন্যদিকে নেক্সাস ওয়ান যে কোনো জায়গায়ই ডিকটেশন করার সুবিধা দেয়।5) আপনি স্বাধীন
নেক্সাস ওয়ান সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে গুগল। সে জন্যই ফোনটি আনলক অবস্থায় সরাসরি গুগলের কাছ থেকে কেনা যাবে। এছাড়াও আপনি শুধু এটিএন্ডটি নয়, বরং যে কোনো অপারেটরের সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন নেক্সাস ওয়ানে। উল্লেখ্য, আইফোন এখন পর্যন্ত আনলক করে কোনো সেট বিক্রি করছে না। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীকে এটিএন্ডটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে।6) অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের স্বাধীনতা
অ্যাপলের আইফোনে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হলে একমাত্র উপায় হচ্ছে আইফোন অ্যাপ স্টোর। আর তাই আইফোনের জন্য কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করা হলে তা NexusOne0110aএই অ্যাপ স্টোরেই জমা দিতে হয়। কিন্তু এইসব অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ স্টোরে যাওয়ার আগে অ্যাপল কর্তৃক অনুমোদন পেতে হয়; যা মোটেই আশাজনক নয়। জানা গেছে, কেবল এই অনুমোদনের ঝামেলার জন্য অনেক ডেভেলপার আইফোনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা ছেড়ে দিয়েছেন।অন্যদিকে নেক্সাস ওয়ানের অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটটি সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম। নেক্সাস ওয়ান গুগলের অ্যান্ড্রয়েড নামের ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। যার মানে হলো এই যে, যে কেউই এই প্ল্যাটফর্মের জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবেন। ডেভেলপারদের এই স্বাধীনতা দেয়ায় নেক্সাস ওয়ানের উপযোগী অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে ডেভেলপারদেরও আগ্রহ বেশি। অবশ্য অ্যাপ্লিকেশনের পরিমাণের দিক দিয়ে অ্যাপ স্টোর এখনো অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটের চেয়ে অনেকখানি এগিয়েই আছে।
7) মূল্য কম নেক্সাস ওয়ানের
ক্রেতা আকর্ষণের জন্য হোক বা অন্য যে কোনো কারণেই হোক, নেক্সাস ওয়ানের দাম আইফোনের চেয়ে কিছুটা হলেও কম রেখেছে গুগল। সিমসহ প্যাকেজ না নিলে প্রতিটি আইফোন হ্যান্ডসেটের দাম ১৯৯ ডলার (প্রায় ১৪ হাজার টাকা) এবং নেক্সাস ওয়ানের দাম ১৭৯ ডলার (১২ হাজার ৫৩০ টাকা)। জানা গেছে, দুই বছরের জন্য আনলিমিটেড ভয়েস কল এবং আনলিমিটেড ডাটা (ইন্টারনেট) ট্রান্সফারের এটিঅ্যান্ডটি’র সিমসহ আইফোনের মোট খরচ ৩ হাজার ৭৯৯ ডলার হবে। অন্যদিকে একই মেয়াদ ও সুযোগ-সুবিধার টি-মোবাইলের সিমের সঙ্গে নেক্সাস ওয়ানের মূল্য দুই বছরে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৭৯ ডলার। অর্থাৎ, নেক্সাস ওয়ান ব্যবহার করলে আপনি প্রতি বছর ৬১০ ডলার করে মোট ১ হাজার ২২০ ডলার খরচ বাঁচাতে পারবেন। পরিমাণটা একেবারে কম না হওয়ায় স্বভাবতঃই গুগল ফোন বা নেক্সাস ওয়ানের দিকেই ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ।সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটে ইয়াহু এবং মাইক্রোসফটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রেখে একরকম হঠাৎ করেই মোবাইল বাজারে হানা দিয়ে বসেছে গুগল, যা এই বাজারে রাজত্ব করতে থাকা অ্যাপলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়েই দাঁড়িয়েছে। তবে গুগলের সাফল্য বা ব্যর্থতা হিসেব করার সময় এখনো আসেনি, কেননা তাদের যাত্রা সবে শুরু। আরো বছর দেড়েক গেলেই গুগলের সাফল্য-ব্যর্থতা পরিমাপ করা যাবে বলেই মত দিয়েছেন অধিকাংশ প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি প্রতিবেদকরা।

i wish i buy nexus/google
ReplyDeleteits really ice iformation
bhijan eta kokon asbe bajare janaben...ami kinte sai...jodi kunu information thake market e esece kina tao janaben
ReplyDeletethnkz